শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ১২:০০ পিএম, ২০২১-১১-২৯
বেঞ্জামিন রফিক : রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়া এলাকার ঐতিহ্যবাহী শেখ জনুরুদ্দীন (রহ:) দারুল কুরআন মাদরাসা কুক্ষিগত করার হীন উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তি বর্তমান মোতয়াল্লীর বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করে মূলত মাদ্রাসাটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে মর্মে গুরুতরো অভিযোগ উঠেছে।
এ মাদ্রাসাটি দেশের অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। ইসলামী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তৎকালীন সময়ে বিশিষ্ট দানবীর মরহুম জনু হোসেন ওরফে জনুরুদ্দীন (রহ:) সাহেব বরকতময় কাজের জন্য ১৯৫৪ সালের দিকে তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে নিজের প্রিয় জমি আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী স্বরূপ ওয়াকফ করে দেন। ১৯৬৯ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী “শেখ জনুরুদ্দীন (রহ:) দারুল কুরআন মাদরাসা । কালের পরিক্রমায় সেদিনের সেই নূর-ই মসজিদ ও মাদরাসা আজ ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দ্বীনি শিক্ষার আন্তর্জাতিক একটি শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে হাজার হাজার ছাত্র দেশ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মর্যাদার সাথে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি ইসলামের আলো বিতরণ করছে।
১৯৯১-৯২ সালে আল্লামা ইসহাক ফরিদী (রহ:) এর প্রচেষ্টায় মাদরাসা শিক্ষাক্রমের সর্বোচ্চ শ্রেণী দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল, মাষ্টার্স) শ্রেণীর সুচনা হয়। সেদিনের টিনের চালার মাদ্রাসা বর্তমানে হাজারো শিক্ষার্থীদের কুরআনের ধ্বনী মুখরিত বহুতল বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত। এলাকাবাসী ও বিত্তবানদের দান আর ক্ষুদ্রক্ষুদ্র অনুদানে এতিম শিক্ষার্থীদের সার্বিক ব্যয়ভার, শিক্ষকদের বেতন, কুতুবখানায় প্রয়োজনীয় কিতাব সরবরাহ, কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থাসহ নানান ব্যয়ভার নির্বাহ করা হয়।
একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বর্তমান মোতয়াল্লী তার দাদা এবং বাবার মতোই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এত বছর হয়ে গেলো কখনো তো বর্তমান মোতয়াল্লী ইমাদুদ্দীন নোমানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। পুরো বিষয়টা যে কয়েকজনের চক্রান্ত তা বুঝা যায়। মোতয়াল্লীর বিরুদ্ধে ভাড়া করে আনা তথাকথিত সাংবাদিক নামধারীদের দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন সব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যার নামও কোনদিন কেউ শুনেনি। হাতে হাতে করে পত্রিকা বিলি করে আমাদের দিয়েছে। তখনই আমরা বুঝতে পেরেছি এসব নোমানের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র, নুর মসজিদ ও মাদ্রাসাকে ডুবানোর ষড়যন্ত্র। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিকে বর্তমান মোতয়াল্লী তার দাদা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিকে যেভাবে আপন মনে করে দায়িত্ব পালন করবে তা অন্য কাউকে দিয়ে সম্ভব হবেনা।
তারা আরো জানিয়েছেন, মরহুম জনুরুদ্দীন (রহ:) এবং তার পুত্রের পর যথাবিহিত তদীয় মরহুম জনুরুদ্দনী (রহ:) এর পৌত্র তথা মরহুম বোরহান উদ্দিনের পুত্র ইমাদুদ্দিন নোমান মোতয়াল্লী নিযুুক্ত হন। কথায় বলে নিজের সবচেয়ে প্রিয়বস্তু দানকারীই জানে দানকৃত বস্তুর প্রতি ভালবাসা কী। পরম মমতায় ৬০/৭০ বছরের এই প্রতিষ্ঠানটিকে মোতয়াল্লী ইমাদুদ্দীন নোমান পিতা এবং দাদার মতোই অব্যাহতভাবে নিরলস দেখভাল করে নূর মসজিদ ও মাদ্রাসাটিকে ঈর্ষণীয় শ্রেষ্ঠ অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। এমনকি নিজের জমি বিক্রি করে এবং আপনাদের পূর্ণ আর্থিক সহযোগীতা ও সমর্থন নিয়ে কোটি কোটি টাকা মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে। এমন একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কতিপয় ব্যক্তির হীনচক্রান্ত ফাঁস হয়ে পড়েছে। মসজিদ-মাদ্রাসার নিয়ে এমন হীন চিন্তাভাবনা আল্লাহভীরু কোন মুসলমান কল্পনাও করতে পারেনা। সত্যতা নাই থাকুক মিথ্যা বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আর কুৎসা রটনার মাধ্যমে মোতয়াল্লীকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং অলিখিত পরিচালনা কমিটিকে দুর্বল করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য।
এলাকাবাসীর মতে, চিহ্নিত ওই কজন ব্যক্তির হীনস্বার্থ বাস্তবায়িত হলে ঐতিহ্যবাহী এ ইসলামী প্রতিষ্ঠানটি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। নেতৃত্ব নিতে হলে আল্লাহর প্রতি রুজু হয়ে সেবা এবং দানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অজর্ন করতে হয়। কুচক্রীরা ইতো মধ্যে ওয়াকফ বোর্ড ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপনের পাশাপাশি বর্তমান মোতয়াল্লীর কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী দিয়ে ১৪/১০/২০২১ইং নাজেহাল এবং মাদ্রাসার উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকারী মোতয়াল্লী ইমাদুদ্দীন নোমানকে অবিলম্বে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া অন্যথায় শেষ করে দেবে মর্মে হুমকীর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী তথা মুসল্লীয়ানে কেরামের মাঝে এ ঘটনায় তীব্রক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোতয়াল্লী ইমাদুদ্দীন নোমান জানান, “একমাত্র আল্লাহকে রাজী খুশি করে মোতয়াল্লীর দায়িত্বপালনকারী আমি ইমাদুদ্দীন নোমান আমার দাদা মরহুম জনুরুদ্দীন (রহ:) এর মহান ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলতে চাই, আমার প্রাণপ্রিয় এলাকাবাসী ও মুসল্লীগণ চৌধুরী পাড়াস্থ “নূর মসজিদ ও শেখ জনুরুদ্দীন (রহ:) দারুল কুরআন মাদরাসা আজ প্রথম সারির একটি ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।“
“আমি ইমাদুদ্দীন নোমান নয় দ্বীন ইসলামের একজন নগণ্য সেবক হিসেবে ২০১০ইং হতে ওয়াকফ এেেস্টটের বৈধতা নিয়ে মোতয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দেশের অগ্রগতি ও ইসলামের স্বার্থে এই মসজিদ-মাদরাসার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সচেষ্ট রয়েছি। আমার এলাকাবাসী সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় এটি সম্ভব হয়েছে। বংশের বাতিঘর বংশের মুরুব্বী ও এলাকার মুসল্লীদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ প্রতিষ্ঠানটি অব্যাহত উন্নতি দৃশ্যমান।
পক্রিকা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানান, জাতির বিবেক হিসেবে গণমাধ্যমকর্মী/সাংবাদিকদের প্রতি আমি আস্থাবান এবং শ্রদ্ধাশীল। একজন সাংবাদিক তার সত্যনিষ্ঠতায় অবিচল থেকে সত্য তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করবেন এটাই কাম্য। অথচ সেখানে আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই আমার চরিত্র হনন মূলক নানান মিথ্যা কথা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” লোকমারফত পত্রিকা গছিয়ে দেয়া ছাড়াও আমাকে টেলিফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সেই সংবাদ ধামাচাপা দিতে টাকা দিয়ে আপোষ করার কথাও বলা হয়। কীসের আপোষ করবো? এরা কখনো সাংবাদিক হতে পারেনা দেশের সম্মানিত সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে এরা। আমাকে এলাকাবাসী/মুসল্লীয়ানে কেরামের কাছে এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানোয়াট,বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে। চিহ্নিত ওইসব কু-চক্রীরা ঐতিহ্যবাহী এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটিকে সামান্যতম ভালবাসলেও এভাবে তার সুনামহানি করতে পারতো না।
তিনি আরো জানান, আল্লাহর কাছে শোকরিয়া বরাবরই এলাবাসী ও মুসল্লীদের সমর্থন পেয়েছি আমি। সেই সর্মথন নিয়েই চলছি, আগামীতেও চলবো ইনশাআল্লাহ। আজ কঠিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গোটা প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা, আমাদের বংশে কালিমা লেপন এবং অ-ইসলামিক পন্থায় ষড়যন্ত্রকারীদের নানান কার্যকলাপে আমি আমার নিজেকে নিয়ে শংকিত নই বরং আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে আমি শংকিত। ঐতিহ্যবাহী এ মাদরাসাটির স্¦ার্থে আমার প্রতি এলাকাবাসীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হস্তক্ষেপ এবং দোয়া সর্মথনই আমার একমাত্র শক্তি। নিশ্চয় আল্লাহর দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হবে ইনশাল্লাহ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষ ত্যাগ করা একজন জানিয়েছেন, যড়যন্ত্রকারীদের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিটি উভয় পক্ষেরই ঘনিষ্ঠজন। তথ্য প্রমাণ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন পত্রিকায় নিউজ করতে না পেরে এক পর্যায়ে ভাড়া করা হলুদ সাংবাদিককে টাকার বিনিময়ে অখ্যাত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। মূলত: ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে বর্তমান মোতয়াল্লী ইমাদুদ্দীন নোমানের বিরুদ্ধে লেগেছে। যখন দেখলাম আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানটিরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তখন পাপের পথ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে কখনো মাদ্রাসাটি নিরাপদ থাকবেনা।
এদিকে তথাকথিত হলুদ সাংবাদিকের সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যেখানে সামগ্রিক বিষয়টিতে মূলত: দু’ব্যক্তির নেতৃত্বের বিষয়টি পরিস্কার।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ওয়াকিবহাল মহলের মতে ঐতিহ্যবাহী এ মাদ্রাসাটি নিয়ে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র যেমন ন্যাক্কারজনক তেমনি তা গোটা মাদ্রাসাটিকে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেঞ্জামিন রফিক : পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে লাখ লাখ টাকা প্রতারণায় আওয়ামীলীগ থেকে...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অধ্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : প্রতিবেদক ॥ খুব ইচ্ছে করে নিজের মনের কিছু কথামালাকে গুছিয়ে লিখতে। নিজের জীবনের কিছু টুকরো আনন্দ, ক...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচন নিয়ে এক মতবিনিম সভা আজ বৃহস্পতিবা...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান আগ্রহী ...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : ষ্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কমলাপুরস্থ লাভ বাংলাদেশ পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অন...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited