শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৮:৫২ পিএম, ২০২০-১০-২১
ধ্বসে পড়লো জামাতের রক্ষাকবচ, কালো টাকার মালিকের দম্ভ -----------
আসাদুজ্জামান বাবুল : রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লো বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বির্তকিত পন্থায় বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া রুহুল আমিন গাজীর গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। দুই মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে রুহুল আমিন গাজীর গ্রেফতারে সাংবাদিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে রুহুল আমিন গাজীকে ছাড়িয়ে নিতে আওয়ামী ব্লকের সাইনবোর্ডধারী একটি চিহ্নিত সাংবাদিক মহল মরিয়া হয়ে তদবীরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। তাদের মাতম দেখে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিস্ময়ে হতবাক।
উল্লেখ্য,নিবন্ধন বাতিলকৃত জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ এর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের চীফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রায় প্রায় দু’শ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে এবং জামাতার নামে-বেনামে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ থাকার কথা জানা গেছে।
একাধিক সূত্র মতে, জামায়াতপন্থী সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী সংবাদপত্রে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ত্রিপক্ষীয় কমিটি (মনিটরিং সেল) এ প্রতিনিধি থাকার সুযোগে নিজের ভাগ্য বদলে নিয়েছেন। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো কাড়িকাড়ি টাকার মালিক বনে গেছেন। জলাঞ্জলী দিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃত্বের আদর্শ। পেশাদার সাংবাদিক, শ্রমিক কর্মচারিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার বঞ্চিত করে অখ্যাত ও আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের মতো কু-কর্মের রেকর্ড গড়েছেন। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বেতন ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার বঞ্চিত করে বিজ্ঞাপন বাণিজ্য সুবিধা পান ভুঁইফোড় মালিকেরা। মাঝখান থেকে চতুর বানরের মতো উভয় পক্ষ থেকে পিঠার ভাগের মতো কমিশন হিসেবে প্রতিবারই নিজের পকেটের স্বাস্থকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলেন।
মনিটরিং সেলে বিএফইউজের নির্বাচিত দু’জন প্রতিনিধি থাকার বিধান রয়েছে। অথচ নিয়ম অমান্য করে স্বৈরাচারী কায়দায় তাকে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ও সেলে অবৈধভাবে রাখা হয় তাকে। এ সুযোগে তিনি অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
মূখে ফেনা তুলে কুমিরের মায়া কান্নায় সাংবাদিকদের ভাগ্য উন্নয়নের জিকির করলেও মহাদূর্নীতিবাজ এই সাংবাদিক নেতা কেবলি নিজের আখের গুছিয়েছেন, দুর্দশায় হাবুডুবু খাওয়া সাংবাদিক সমাজের কোন উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তার গ্রেফতারের খবরে ক্ষুব্ধ একাধিক গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, তিনি অবশ্যই সফল। তবে সৎকাজে নয় অসৎ কাজে। নিজের স্বার্থহানির পথের কাঁটা তিনি নির্মম ভাবে দমন করেছেন। কাউকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছেন, দু’পক্ষের মাঝে বিভেদ তৈরী করে ফায়দা লুটেছেন, জিইয়ে রেখেছেন সাংবাদিকের সাথে সাংবাদিকের দ্বন্দ্ব। তাকে জাতীয় প্রেসক্লাবে দলাদলি, আর বিভেদের জনক বলা হয়ে থাকে।
অনেকে মুখ টিপে বলেন তার একমাত্র পুজি হচ্ছে তার মূখ। এ মুখটা না থাকলে এতদিনে শেয়াল-কুকুরে ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়ে নিতো। নিজে অক্ষত থাকার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপিমুক্ত করে জাতীয় প্রেসক্লাবকে আওয়ামিলীগের হাতে তুলে দিয়েছেন এই নেতা।
একজন সাংবাদিক নেতা যখন নিজেই মহাদূর্নীতিবাজের পরিণত হন তখন কলংকের আর কোন পরিসীমা থাকেনা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে তার সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ব্যুরোর চেয়ারম্যান বিচারপতি সুলতান হোসেন খান তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে। এমপি, মন্ত্রীরা ধরাশায়ী হলেও অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির এই সাংবাদিক নেতা দুদক পুনর্গঠনের সময় জামায়াত পন্থীদের তদবিরে সে প্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দেন, কোন এক নেপথ্য শক্তির বলে প্রশাসন তাকে গ্রেফতার তো পরের কথা তার টিকি স্পর্শ করতে পারেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে চোরের মার বড়গলায় চিৎকার আর হম্বিতম্বিই যার এক মাত্র মূলধন। পরবর্তিতে তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত অভিযোগগুলো প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কৌশলে চিরতরে থামিয়ে দেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা থাকা স্বত্বেও তিনি বুক ফুলিয়ে দাপটের সাথে দাবড়ে বেড়িয়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের লবিতে বসে দম্ভোক্তি করে বলতেন “গাজীকে ধরা এতো সহজ নয়।”
সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের অল্প সময়ের ব্যবধানে ২৩/ক ইস্কাটন রোডের সাউথইস্ট ব্যাংকে রুহুল আমিন গাজীর একাউন্টে এক সপ্তাহ’র মাত্র চার কর্মদিবসে ৯৬ লাখ টাকা জমা হয়। তখন তার ব্যাংক হিসাবে বেশ কয়েক কোটি টাকা জমা হবার তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ে। ২০ নিউ ইস্কাটন গাউস নগর, রমনা, ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, মিরপুর ১১ ব্লক এফ এ অবস্থিত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত মীরপুর সাংবাদিক গৃহসংস্থান সমবায় সমিতির ২৭ নম্বর প্লটে ৫ তলা আলীশান বাড়ি, রাজউক পূর্বাচল ব্লকে সেক্টর ২, রোড ৪০৩, প্লট নং-০০৬ এ অবৈধভাবে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। রাজধানীর বঙ্গবাজার সিটি করপোরেশনের মার্কেটে তার দোকান ঘর থাকার কথা জানা গেছে। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে ধরাঙ্গারটেক নামক স্থানে তার আছে এক বিঘা জমির উপরে একটি বাড়ি। রংমহল হিসেবে পরিচিত এ বাড়িতে তিনি পশুপাখি পোষেন। সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটআছে রুহুল আমিন গাজী ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে। বিলাসী গাড়ী ব্যবহার করেন। ঘন ঘন বিদেশে সফরে যান। পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন ব্যয় এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাচাইয় করলে তার কালো টাকার ডিপো গড়ার পিলে চমকানো তথ্য উদঘাটিত হবে বলে ঘনিষ্ট সূত্র দাবি করেছে। সূত্র জানায়, মীরপুর সাংবাদিক গৃহসংস্থান সমবায় সমিতির সভাপতির ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে রুহুল আমিন গাজী কালো টাকার মালিক এবং অসাংবাদিকদের সেখানে জালিয়াতি করে প্লট মালিক হবার সুযোগ করে দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। সরকারের গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ দলিলের শর্ত হচ্ছে: কেবল সাংবাদিকদের কাছে আলোচ্য আবাসিক এলাকার প্লট হস্তান্তর করা যাবে। সাংবাদিকতার বানোয়াট কাগজ যোগাড় করে দিয়ে বেশ কয়েকটি প্লট অসাংবাদিকদের কেনার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত হস্তান্তরিত প্লটের নথি যাচাই করলে তার সত্যতা মিলবে। এছাড়া সরকার অনুমোদিত নকশা জালিয়াতি এবং অবৈধ প্লট বানিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগে মামলায় ফেঁসেছেন তিনি। মসজিদের উত্তর পাশে তিনি দুটি প্লট বানিয়ে যৌথ জরিপকালে অভুক্ত করেন অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে।
গাজীর বিরুদ্ধে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমান। সমিতির প্রতিবাদী সদস্য রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও দি এশিয়ান এজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ সংক্ষুব্ধ ৬ জন সদস্য মামলা দায়ের করেন। গাজীর দুর্নীতির প্রতিবাদকারীদের কণ্ঠরোধ এবং হাউজিং এলাকায় ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্ধিতা নিরঙ্কুশ করতে তিনি হাউজিংয়ে মসজিদ নির্মানে দুর্নীতির অভিযোগে সমিতির নির্বাচিত সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলা পরিচালনার নামেও সমিতির অর্থ তসরুপের অভিযোগ রয়েছে গাজীর বিরুদ্ধে। মামলায় তিনি হেরে গেছেন। ফের এ সমিতি কব্জায় নিতে নানা ফন্দিফিকির করছেন বলে ঘনিষ্টরা স্বীকার করেছেন।
বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিক সংগঠন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো: মেহেদী মাসুদ গত বছরের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদ সভায় গাজীর বিরুদ্ধে বিএনপিসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ নানা উৎস থেকে সাংবাদিকদের কল্যাণ, ইফতার মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে অনুদান এনে আত্মসাৎ করে বিপুল সম্পদের মালিক হবার এবং সংগঠনকে কলঙ্কিত করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেন। গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। জামায়াতপন্থী সাংবাদিক নেতা রুহুর আমিন গাজীর নানামুখী অপতৎপরতা এবং তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ড. মেহেদী মাসুদ গত ১৪ জানুয়ারী তদন্ত কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএফইউজের বৈঠক তিনি বর্জন করেছেন। অভিযুক্ত সভাপতি গাজী সাংগঠনিক সম্পাদকের অভিযোগ প্রত্যাহার করিয়ে নিতে নানামুখী প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে। সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মেহেদী মাসুদ অভিযোগ তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এখনও অনগ অবস্থানে আছেন। শ্রম অধিদপ্তর, এনবিআর এবং দৃদকসহ রাষ্ট্রীয় সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মাধ্যমে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত হলে তার অভিযোগ সত্য প্রমানিত হবে বলে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি। তার এই সাহসী ভূমিকা সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সাংগঠনিক ক্ষমতা কলংকিত করার অভিযোগে গাজীকে অপসারনের দাবিতে তিনি বিএফইউজের বৈঠক বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সুচতুর গাজী বিএফইউজের সভাপতির পদ থেকে পদত্যগ করবেন বলে নিকটজনদের কাছে প্রচারণা চালিয়ে আনুকুল্য পাবার কৌশল নিয়েছেন।
এদিকে কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ঃ খুলনা ২০৬৯) রুহুল আমিন গাজীকে বিএফইউজের অবৈধ সভাপতি আখ্যায়িত করে অবিলম্বে অপসারন এবং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং সংগঠনবিরোধী নানা অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মুকল স্বাক্ষরিত এই আবেদন গত ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯ শ্রম পরিদপ্তরে দাখিল করা হয়। এতে তার সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়াকে বেআইনী দাবি করা হয়েছে । শ্রম পরিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা অভিযোগ আমলে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন অপরাধ বিচিত্রার কাছে। তিনি বলেছেন, অনিবন্ধিত দুটি ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার তালিকা প্রনয়ন এবং পরিদপ্তরের প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রুহুল আমিন গাজীর উত্থান এবং অবৈধ অর্থ উপার্জন এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। তিনি জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব পুর্নবহালের জন্য সাংবাদিক সমাজ এবং সুধী মহলের গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে দলটির নেতাদের নেক নজরে আসেন। ওই আবেদনে স্বাক্ষরকারী আওয়ামীলীগপন্থী একজন সাংবাদিক নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দোহাঈ দিয়ে প্রতিবাদকারীদের দমনের কৌশল গ্রহণ করেন তিনি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী অসাংবাদিক হওয়া সত্বেও জালিয়াতি করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রদান এবং রাজধানীর মিরপুর সাংবাদিক গৃহসংস্থান সমবায় সমিতি লিঃ এ বেআইনীভাবে একটি প্লট কিনে দিয়ে পেয়ারে বান্দা হয়ে যান। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
রুহুল আমিন গাজীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দৈনিক সংগ্রাম অফিস জুড়ে আজো মুখরোচক আলোচনা অব্যাহত আছে। কর্তৃপক্ষ তার সনদপত্র তলব কররেও তিনি দাখিল করেননি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। তাছাড়া গাজী নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনসভায় প্রকাশ্যে বলেছেন, এধরনের মতলববাজি দাবি ভুয়া এবং উদ্দেশ্যমুলক। তবে জামায়াত নেতাদের সার্বিক প্রচেষ্ঠায় গাজী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মীরপুর সাংবাদিক গৃহসংস্থান সমবায় সমিতির সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়ে তার ভাগ্যের রথে গতি সঞ্চার করেছেন। এছাড়াও ফিল্ম সেন্সর বোর্ড, ওয়াসা পরিচালনা বোর্ডসহ বিভিন্ন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে এবং আওয়ামীলীগপন্থী কয়েকজন সাংবাদিক নেতার সঙ্গে সখ্যতা থাকার দোহাই দিয়ে ব্যক্তিগত অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে একের পর এক কু-কর্ম অব্যাহত রেখেছেন মহা ধরিবাজ এই নেতা।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited