শিরোনাম
টঙ্গী প্রতিনিধি | ০৮:১৭ পিএম, ২০২২-০৩-২৭
রোকনুজ্জামান সবুজ,জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের পূর্ব গামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান নুন্দু। জীবনবাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন। আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। দীর্ঘদিন ধরে অনেক চেষ্টা তদবির করেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম লিপিবদ্ধ হয়নি। তালিকায় অর্ন্তভুক্তি না হওয়ায় তিনি বঞ্চিত রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে। স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মান না পাওয়ায় দুর্বিষ্য যন্ত্রণা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মজিবর রহমান নুন্দু জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুদ্ধে অংশ নিই। একাত্তরের ৯ সেপ্টেম্বর সকল ১০টায় ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে যাই। সেখানে ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের তত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিই। পরে মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে তালিকাভূক্ত হয়ে ভারতের কালাইয়েরচর পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে টাংগাইলের কালিহাতি এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। কিছু দিন পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যোদ্ধেও অংশ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন 'প্রতিবেশী মানিকুল ইসলাম,নুরুজ্জামান সরকার,আশরাফ আলী,জালাল উদ্দীন এক সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়ে সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পেলেও শুধু আমার কপালে জুটছে না রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।' নিজ গ্রামের মানুষসহ উপজেলার অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুজিব রহমান নুন্দুকে মুক্তিযোদ্ধা সম্বোধন করলেও কাগজে-কলমে তার স্বীকৃতি মেলেনি স্বাধীনতার ৫১ বছরেও। ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মজিবর রহমান নান্দু আজ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ঝাঁপসা চোখে এখন শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান। জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভূক্ত হলেও মুজিবর রহমান নুন্দুর নাম মুক্তিযোদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টে লিপিবদ্ধ হয়নি। সবশেষে অনলাইনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠাতে অজানাবসত আবেদনও করতে পারেননি তিনি। মজিবর রহমান নুন্দুর মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত মুক্তিবার্তা,গেজেট,ভারতীয় সনদ, প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদসহ ডাটাবেইজ ফরম হারিয়ে ফেলেছেন। এ বিষয়ে ইসলামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-১০৬৫। তারিখ - ২৬.০৮.২০২১। মজিবর রহমান নুন্দুর ছেলে জালাল উদ্দীন বলেন,মুক্তিবার্তা ৬ এবং ৭ নং ভলিউমের তার বাবা মজিবর রহমান নুন্দুর নাম লিপিবদ্ধ হলেও রহস্যজনক কারণে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। এখন যেনো সরকার তার বাবাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিকুল ইসলাম এক প্রত্যায়নপত্রে উল্লেখ করেছেন,১১ নং সেক্টরের মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হন মজিবর রহমান নুন্দু। মজিবর রহমান নুন্দুর স্ত্রী সুফিয়া বেগম জানান, বিয়ের ৬ মাস পর তাকে বাড়িতে রেখে তার স্বামী মজিবর রহমান নুন্দু মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেন। কিন্তু জীবন বাজি রেখে যোদ্ধ করলেও আজও তার স্বামীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেওয়া হয়নি। তার স্বামীর শেষ ইচ্ছে তিনি যেনো বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব নিয়ে মরতে পারেন। পার্থশী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু বলেন, 'মজিবর রহমান নুন্দু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধে অংশ নিয়েও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়াটা দুঃখজনক।' উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মানিকুল ইসলাম বলেন, 'স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার যে প্রমাণাদি রয়েছে,এতে কোনো সন্দেহ নেই। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া এখন তার অধিকার।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited