শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৭:৪৪ পিএম, ২০২০-১২-২৭
এম.শাহরিয়ার কামাল,কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগীতে শিশু কুলছুম(১০) নিখোজ পরবর্তি ৫দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার ঘটনায় পরিবারের দায়ের করা মামলায় নিরাপরাধ এক নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাদী। দায়েরকৃত হত্যা মামলাটি প্রথমে পুলিশ পরবর্তিতে সিআইডি ভিন্ন-ভিন্ন তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার পর বাদীপক্ষ তা না মেনে পুলিশ ও সিআইডির তদন্তের বিরুদ্ধে আদালতে আপত্তি জানালে বিষয়টি আমলে নিয়ে তৃতীয়বার মামলাটি পুন:তদন্তের জন্য পুলিশে ব্যাুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী'কে নির্দেশ দেন লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম।
আদালত মামলা সূত্রে জানা যায়,২০১৭ সালের ১৪ মে বিকেলে প্রতিদিনের ন্যায় খেলাধুলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশু কুলছুম (১০)। নিখোঁজের ৫ দিন পর কুলছুমদের বাড়ির থেকে ১০০ মি: পশ্চিমে পার্শ্ববর্তী মুরাদ মিয়ার ছাড়াবাড়িতে কুকুরের টানা-হেঁচড়া করা অবস্থায় লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে রামগতি থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন ও এসআই সায়েদুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে শিশু কুলছুমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশের পক্ষ হতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারকে লাশ দাফন করতে বলা হলে পুলিশের উদ্ধারকারী ব্যাগসহ ওই দিনেই কুলছুমের অর্ধগলিত লাশ দাফন করে পরিবার। লাশ দাফনের দশদিন পর ২৪ মে নিহত কুলছুমের মা বিবি জোবেদা বাদী হয়ে পাশের বাড়ির বশির উল্লাহর ছেলে ওষুধের দোকানদার রিয়াজ ও একই এলাকার..... গিয়াস উদ্দিনকে সন্দেহজনক আসামি করে রামগতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১২/১৭। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াজকে গ্রেফতার করে আদালতে রিমান্ড দাবি করলে আদালত তা... মঞ্জুর করে। পুলিশ রিমান্ডে এনে রিয়াজকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে হাজতে পাঠালে ৪ মাস ১০দিন পর জামিনে মুক্তি পায় রিয়াজ। এদিকে আদালতের নির্দেশনা পেয়ে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগতি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সায়েদুর রহমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে কুলছুমের লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পাশাপাশি ভিকটিম সনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়। মামলাটিকে বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুসন্ধাণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সায়েদুর রহমান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর অভিযুক্ত আসামি বশির উল্লাহর ছেলে রিয়াজের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বাদীপক্ষ পুলিশের দেওয়া তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে আপত্তি জানালে ২০১৭ সনের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুন: তদন্তভার সিআইডিতে অর্পন করে আদালত। সিআইডি দু'বছর ধরে মামলাটি পর্যালোচনা শেষে বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সিআইডির তদন্তেও শিশু কুলছুম হত্যাকান্ডের সহিত অভিযুক্ত আাসামি রিয়াজের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করা হলে সিআইডির রিপোর্টের বিরুদ্ধেও আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নারাজি দেন বাদী। ফলে আদালত সিআইডির চুড়ান্ত রিপোর্ট না মঞ্জুর করে তৃতীয়বারের মতো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালীকে মামলাটি পুন:রায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। কুলছুম হত্যায় রিয়াজের সম্পৃক্ততা নিয়ে এলাকাবাসীর মতামত জানতে চাইলে স্থানীয় সাহেদ আলী মনু,ব্যবসায়ী আব্দুল গণি ও মুরাদ হোসেন বলেন,একটা নিষ্পাপ শিশুকে হত্যার মতো এতবড় জঘণ্য কাজ রিয়াজ করতে পারেনা। গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় সকলের নিকট প্রিয় মানুষ রিয়াজ। ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষ একটি গ্রুফ তাদের হীনস্বার্থ হাসিল করতে কুলছুমের মা বাবাকে ভুল পরামর্শ দিয়ে রিয়াজকে মামলায় জড়িয়েছে। তাছাড়া কুলছুম হত্যাকান্ডের সাথে রিয়াজ যে জড়িত নেই তা পুলিশ ও সিআইডির দেওয়া তদন্ত রিপোর্টেই প্রমাণ করে। তবে বাদীপক্ষ এলাকার চিন্হিত কিছু খারাপ মানুষের ধোঁকায় পড়ে সম্পূর্ণ নির্দোষী রিয়াজকে আর্থিক ও মানুষিক হয়রানি করছে বলে জানান তারা। ভুক্তভোগী রিয়াজ জানান, দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় সুফিরহাট বাজারে ওষুদের (ফার্মেসির) দোকানদারী করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে পরে দিন কাটাই। এলাকার মানুষের বিপদেআপদে গভীর রাতেও ছুটে যাই। সাধ্যমত সেবা দেওয়ার চেস্টা করি সবসময় । যে কারণে লোকজন আমাকে পছন্দ করে ভালোবাসে। আমার ব্যবসায়ীক সততা ও তুলনামূলক দোকানে কাস্টমার বেশি আসায় বাজারের একটি স্বজাতিক ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। এরই জের ধরে স্বজাতিক ওইসব প্রতিপক্ষরা কুলছুম হত্যাকে পুঁজি করে মামলার বাদীকে পুসলিয়ে মুলত: আমাকে আসামী করিয়েছে। পুলিশ ও সিআইডির তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমাণ হলেও শত্রুপক্ষের ইন্ধনে বাদী কুলছুমের পরিবার আমাকে ইচ্ছাকৃত হয়রানি করছে। সম্পূর্ণ সাজানো ও পরিকল্পিত মিথ্যা মামলাটিতে নির্দোশ হয়েও ৪ মাস ১০ দিন জেলের ঘানি টানার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছি। বর্তমানে আমি সহায় সম্বল হারিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। মিথ্যা এ মামলাটি থেকে আমি বাঁচতে চাই বলে হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে ভুক্তভোগী রিয়াজ। চরআলগী ইউনিয়ম পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন লিটন চৌধুরী বলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে নিরপরাধ কাউকে যেখানে জড়ানো না হয়। সেটাই আমি চাই। তিনি মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেন। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা রামগতি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই)সায়েদুর রহমান জানান, মামলাটির তদন্তভার পেয়ে বিভিন্ন সূত্রে যাচাই-বাছাই করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। বাদীপক্ষ সম্পূর্ণ খামখেয়ালিপণায় প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি জানিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডি) আব্দুজ্জাহের বলেন, আদালত থেকে এই মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দীর্ঘ তদন্ত করে দেখেন এবং অভিযুক্ত আসামী রিয়াজ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় বলে প্রতিয়মান হয়।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: সেলিম হাসান : লালমনিরহাটের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আ...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা, গোলাকান্দাইল ও ভোল...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : ইসমাঈল হোসেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ফিরোজ মিয়া(৮০)নামে এক ব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : ইসমাঈল হোসেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোন...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : সেখ মুজাহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রতিনিধি :মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী ইশতিহার ঘ...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : ইসমাঈল হোসেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স এর শাখা অফ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited