শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৯:০৬ পিএম, ২০২১-০১-৩১
মোহাম্মদ শাহ্ আলম শফি (কুমিল্লা) : মুরাদনগর উপজেলা সদরে গত প্রায় ছয় মাস ধরে চলছিল ‘মাই ন্যাশনাল আইটি’ নামের হায় হায় কোম্পানির প্রতারণা। এই সময়ের মধ্যে চক্রের দুই সদস্য মুরাদনগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মহসিন হায়দার ও আলউদ্দিন হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। অবশেষে সেই প্রতারণাচক্রের সাথে জড়িত ‘মাই ন্যাশনাল আইটি ও এক্টিভ বাজার’ এর মূলহোতা শ্রমিকলীগের সভাপতি মহসিন হায়দার ও সহযোগী আলাউদ্দিন ধরা পড়েছেন মুরাদনগর থানা পুলিশের হাতে। তবে প্রতারণাক্রের মূলহোতা মহসিন হায়দারের দাবি এ পেশায় তারা সহযোগী জেলা পর্যায় রয়েছে তাদের ‘বস’ যারা সবসময় থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।প্রতারকচক্রের সদস্যরা হলেন, উপজেলা সদরের উত্তর পাড়ার শানু মোল্লার ছেলে মহসিন হায়দার (৪০) ও পার্শবর্তী দেবিদ্বার উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫)।
জানা যায়, গত ছয় মাস আগে ‘মাই ন্যাশনাল আইটি পরবর্তীতে এক্টিভ বাজার ২৪’ নামে মুরাদনগর উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিসের পেছনে হুমায়ুন ভিলার ৩য় তলায় অফিস কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয়। এই প্রতিষ্টানে বসে বায়ো ফ্লক মাছের প্রজেক্ট, ক্যাটারিং প্রজেক্ট, অনলাইন টিভি চ্যানেল, ন্যাশনাল আইটি সেক্টর, ন্যাশনাল ই-কমার্সসহ ঢাকা এবং গাজীপুরে ৩৬শ বিঘার উপর রিসোর্টের নামে শেয়ার বিক্রির করে।
প্রতিষ্টানের কর্ণধার মহসিন হায়দার এই অফিস ভাড়া নেন। হুমায়ুন ভিলার কর্তৃপক্ষও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ভূক্তভোগী উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে আবু বক্কর (২৩) জানান, মহসিন হায়দার তার কোম্পানীর একটি একাউন্ট আবু বক্কর কিং নামে খোলে দেয়। পরে সেই অনলাইন একাউন্টে ডলার দিয়ে তার কাছ থেকে নেয়া হয় ২ লাখ টাকা। প্রথম মাসে তাকে শেয়ারের লভাংশ দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা। পরের মাসেই মাত্র ৬শ’ দিনে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার লোভে সে এক সাথে ১৫ লাখ টাকা জমা দেয়।এরই মধ্যে আবু বক্করের মতো উপজেলার নবীপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাগর মিয়া ও একই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে কিবরিয়া, রহিমপুর গ্রামের মতিন সরকারের ছেলে সোহাগ মিয়া, নোয়াগাঁও গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মাহবুব সরকার, নেয়ামতপুর গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে মোবাশ্বির ভূইয়া, ভূবনঘর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বেলাল হোসেন ও আবু হানিফ, গকুলনগর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে জুনায়েদ, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পুমকারা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে আল আমিনের কাছ থেকে পর্যাক্রমে প্রায় ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩শ সদস্যর কাছ থেকে বিশ্বাস অর্জন করে হাতিয়ে নিয়েছে ১০ কোটি টাকা।মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, ৬শ’ দিনে টাকা দ্বিগুণ করার লোভ দেখিয়ে ‘মাই ন্যাশনাল আইটি ও এক্টিভ বাজার’ এর গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছিল। তাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে দেড় মাস চেষ্টার পর ৩০ জানুয়ারী শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আবু বক্কর বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। রবিবার সকালে চক্রের দুই সদস্য মহসিন হায়দার ও আলাউদ্দিনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : সেখ মুজাহিদুল ইসলাম(বাগেরহাট প্রতিনিধি) : স্বাধীনতার প্রথম প্রতাকা উত্তোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে এব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নিউজ ডেস্ক : কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২০২১-২২ মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি পদে দৈনিক দিন...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে জনপ্রিয় সময়ের জাতীয় “দৈনিক আমাদের কন্ঠ” পত্রিক...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার ঃ রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চোয়াবালি গ্রামে পূর্ব পরিকল...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ সিরাজগঞ্জ সদর থানার অভিযানে অভিনব কায়দায় ফেন্সিডিল পাচারের সময় স্বামী...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হযরত আজম শাহ (রহ.) দরগাহ শরীফের পীর ছাহেব, হযরত শাহ আজ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited