শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৭:২৭ পিএম, ২০২১-০৬-১৭
মোহাম্মদ শাহ্ আলম শফি ,(কুমিল্লা) : কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই কমবেশী গড়ে উঠেছে লেয়ার, ব্রয়লার, সোনালীসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি পোল্ট্রি ফার্ম। পুরো উপজেলায় সররকারী নিবন্ধন ও নিবন্ধন ছাড়া ছোটবড় প্রায় পচাত্তরের বেশী ফার্মে লেয়ার তিনলক্ষ, ব্রয়লার দুই লক্ষ ও সোনালী একলক্ষের মত মুরগী আছে।উপজেলার গুনাইঘর ইউনিয়নের মাশিকারা, শাকতলা, বল্লভপুর, উজানীকান্দি, উজানীজোড়া, মধুমুড়া এইসব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে প্রায় একলক্ষ লেয়ার, পঞ্চাশ হাজার সোনালী এবং ত্রিশ হাজারের মত ব্রয়লার মুরগীর দুইশতাধীক ফার্ম রয়েছে শুধুমাত্র এই এলাকায়। এর থেকে প্রতিদিন তিন লক্ষের মত ডিম উৎপাদন হয় যা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে রফতানি করা হয় দেশের বিভিন্নস্থানে পাশাপাশি এলাকা থেকে স্থনীয়ভাবে মাংশের একটি বড় অংশের চাহিদা পুরন করে বাকিটা চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, এই এলাকার খামারিদের দুঃখ-দুর্দশা দেখার কেউ নেই। লাগামহীন পোল্ট্রি খাদ্য এবং ঔষধের উর্ধগতিতে দিশেহারা এই এলাকার খামারীরা। নেই সরকারি সহায়তা কিংবা কোন নজরদারি। খামারী জনাব আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ছয় হাজারের মত লেয়ার মুরগী রয়েছে, কিন্তু ডিমের দাম দীর্ঘদিন নি¤œমুখী হওয়ায় তার প্রতি মাসে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। ওলিউল্লাহ সরকার জানান. তার চার হাজারের মত লেয়ার মুরগী রয়েছে, কিন্তু ডিমের দাম নি¤œমুখী এবং সিন্ডিকেটের কারনে ডিমের সঠিক মুল্য পা”েছননা তারা।ঔষধ বিক্রেতা জনাব ছগির আহামেদ বলেন, এলাকায় তার একটি ভেটেনারি ঔষধের দোকান রয়েছে, ঔষধ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী এবং সঠিক সময়ে পন্য না পাওয়ার কারনে তিনি খামারীদের হাতে যথাসময়ে ঔষধ তুলে দিতে পারছেননা। তার নিজেরও তিন হাজার লেয়ার মুরগী রয়েছে। পাশাপাশি সোনালী এবং ব্রয়লার খামারিদেরও একই অবস্থা, সঠিক বাজারমুল্য এবং বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে প্রতিনিয়তই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। মাশিকারা বাজারে মেসার্স গিলবার্ড পোল্ট্রি’র সত্বাধীকারী মোঃ ইলিয়াস ইকবাল বেলাল মুন্সী জানান, সরকারী মনিটরিং বা টেকনিক্যাল সাপোর্ট বলতে কিছুই আমরা পাইনা। আমরা টিকে আছি ঔষধ কোম্পানির চিকিৎসক ও তাদের পরামর্শের উপর। অন্যদিকে কোম্পানিগুলির সিন্ডিকেটের কারনে ফিড তৈরির “ল” মেটারিয়াস স্থানীয়ভাবে না পাওয়াতে নিজের তৈরি ফিডের বদলে কিনতে হচ্ছে কোম্পানির প্রস্তুকৃত রেডিমেড ফিড। যেখানে নিজে তৈরি করতে কেজি প্রতি খরচ হয় ৩২-৩৪ টাকা সেখানে কোম্পানির ফিড কিনতে হয় ৪০-৪২ টাকায়।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুল হাকিম জানান, খামারিদের অভিযোগ একেবারেই অমুলক নয়। আমাদের যে সরকারী সাপ্লাই আসে তা পুরো উপজেলায় বিতরণ করতে হয়, সেই ক্ষেত্রে এককভাবে কোন ফার্মে বিতরণ করা সম্ভব নয়। তবে সামনে আসন্ন এলজিপিডি প্রকল্প থেকে উপজেলার তালিকাভুক্ত খামারিদের ঔষধ ও সার্বিক সহায়তা করতে পারব বলে আশা করছি।খামারিদের প্রানের দাবি, উপজেলা প্রানীসম্পদ বিভাগ এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদেরকে সহজশর্তে ঋন প্রদান এবং সরকারি প্রনোদনাসহ নিয়মিত ডিম এবং মুরগির বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে সঠিকভাবে তদারকি করলে যেমন ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন তারা এবং পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে এই শিল্প। নয়ত এই অবস্থা চলতে থাকলে খামারীরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকবেনা।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেঞ্জামিন রফিক : পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে লাখ লাখ টাকা প্রতারণায় আওয়ামীলীগ থেকে...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অধ্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : প্রতিবেদক ॥ খুব ইচ্ছে করে নিজের মনের কিছু কথামালাকে গুছিয়ে লিখতে। নিজের জীবনের কিছু টুকরো আনন্দ, ক...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচন নিয়ে এক মতবিনিম সভা আজ বৃহস্পতিবা...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান আগ্রহী ...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : ষ্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কমলাপুরস্থ লাভ বাংলাদেশ পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অন...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited