শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৪:৫৫ পিএম, ২০২০-০৮-২৪
সাইফুল ইসলাম, বাউফল (পটয়াখালী) : একাত্তরে সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গন থেকে ফিরে আসা বাউফলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মুনসী। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে। সেই যুদ্ধের কৌশল আজও রপ্ত করে চলেছেন। বিভিন্ন দিবস পালন,সভা সেমিনারসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে শতভাগ দর্শকের হাত তালিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে তার বাড়ী। মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মুনসী। পিতা মৃত্যু মন্নান মুনসী। ৬ ভাইয়ের তিনজন মুক্তিযোদ্ধা। ৭২ সালে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৬৫ সাল থেকে পাক-পাকিস্তান ও ভারত সাথে যুদ্ধকালীন সময় থেকে যুদ্ধ করে আসছেন। প্রথম যৌবণে আনসার বাহিনী প্রশিক্ষন নিয়ে পরবর্তী সময় বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করেন। স্বাধীনতার পরে যুদ্ধের অস্ত্র জমা দিয়ে কনজ্যুমার সম্প্রসারণ কোর্পরেশন চাকরী নেয়। কনজুম্যার চাকরী ছেড়ে দিলেও তার চর্চা ছেড়ে দেয় নি। বীজ বিক্রি, কৃষি কাজ ৭৭ সাল থেকে অব্যাহত রাখছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ১ ছেলে মাসুদ পেশায় ব্যবসায়ী। ৪ মেয়ের ৩ জন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা একজন ইউনিয়ন ভুমি অফিস চাকুরি করেন।
সরেজমিন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মুনসী বলেন প্রতিবেদকের সাথে। তার প্রতিটি কথায় ছিল, কবিতার ছন্দ, বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি উর্দু ও হিন্দী ভাষায় ব্যবহার। এ ভাবে কথা বলাই যেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মুনসীর সৃজনশীলতা। উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান সভা, সেমিনারে এ ভাবে কথা বলে থাকেন তিনি। তার কথায় শতভাগ দর্শক হাত তালিয়ে দিয়ে উপভোগ করেন।
আলাপচারিতায় জানা যায়, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালীন ভারত ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ হনুমান রাইসমিল পাকামাঠ ১৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষন প্রদান করেন এ শাহজাহান মুনসী। এর মধ্যে বর্তমান আ.স.ম ফিরোজ, হাবিবুর রহমান,সরদার আবদুর রশীদ, আবদুল বারেক ও লুৎফর রহমানসহ ৭ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে বিজয়ের উল্লাস। চারদিকে লাল সবুজ পতাকা। যুদ্ধের অ¯্র জমা দেওয়ার নির্দেশনা। কিন্তু একদল মুক্তিযোদ্ধা অ¯্র জমা না দেওয়া শুরু হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ। খুলনা বৈইঠাখানায় এলাকায় ইন্দুজিত বাহিনী সাথে অ¯্র উদ্ধার জন্য যুদ্ধে করতে হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। এ সময় দুই চোঁখের পানিছেড়ে দিয়ে বলেন, নিজ মুক্তিযোদ্ধা ভাইর সাথে যুদ্ধ করে অ¯্র ্উদ্ধার করা, তা কত বেদনাদায়ক যিনি এ যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছেন তিনি যাতনা বুঝতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সর্ম্পকে জানা যায়,তৎকালিন বাকেরগঞ্জ (বরিশাল জেলার) বাবুগঞ্জ থানার অধিনায়ক এ্যাডভোকেট ওহাব নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। এ দলে ২শত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেণ। এ সময় ১৩ বার পাকবাহিনী সাথে যুদ্ধ করেন। স্থানগুলো হচ্ছে বাবুগঞ্জ , খুলনা বৈইঠাখানা, দাধুয়া,তেরখানা,পাইকঘাটা,তালা,মোল্লার হাট,কালকিনি, ডুমুরিয়া, বসন্তপুর,কালিগঞ্জ এলাকায়। বাবুগঞ্জ থানার পরপর ৩ বার পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে। এ সময় সাধারন জনগন ১৫০ জনসহ ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। ২শ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন পাকবাহিনী। মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মুনসী শেষ ইচ্ছে প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রসায় শিক্ষার্থীদের সামনে মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস তুলে ধরা। শিশুরা যেন আগামী দিনের প্রজম্মের কাছে সত্য কথাটি বলে যেতে পারেন।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited