শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৭:০৪ পিএম, ২০২২-০৫-১৯
এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকলেও নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। বেশি পানি হওয়ায় ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না কৃষকদের।ফলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙালা ইউনিয়নের বিনায়েকপুর হাওর এলাকার কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ অঞ্চলের প্রায় একশ’ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। ধান পেকে গেলেও কাটতে পারছেন না কৃষকেরা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাঙালা ইউনিয়নের বিনায়েকপুর হাওরটি এলাকায় লটাগাড়ি বিল নামে পরিচিত। চলতি মাসের শুরু থেকেই অতিবৃষ্টির কারণে এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।কিন্তু সেই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে অধিকাংশ জমির ধান বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। অপরদিকে হাওর অঞ্চল থেকে এসব ধান কেটে নিয়ে আসার কাঁচা সড়কগুলোও পানিতে নিমজ্জিত কিংবা কর্দমাক্ত। ডুবে যাওয়া ধান কাটতে এবং সেই ধান কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত আনতে কোনো শ্রমিক কাজ করতে চাচ্ছে না। বেশি টাকা মজুরি দিয়েও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। হাওর থেকে এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা হওয়ায় পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
তাই আশপাশের জমির ধান অতিকষ্টে কেটে নিয়ে গেলেও হাওর অঞ্চলের শত বিঘা জমির ধান না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকেরা। শ্রমিক না পাওয়ায় এবং উৎপাদন খরচের তূলনায় ধানের বাজারমূল্য অনেক কম হওয়ায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিনায়েকপুর গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, আমি আট বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধানের ফলন খুব ভালো হয়। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ধান পানিতে ডুবে আছে। নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখন পানি কিছুটা শুকালেও ধান অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। একই গ্রামের মোতালেব মোল্লা বলেন, সাড়ে চার বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু হাওরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ধান পানিতে ডুবে গেছে।
অপর কৃষক ইউনুস আলী বলেন, এক বিঘা খেতের ধান কাটতে সাত হাজার টাকা মজুরি, উৎপাদন খরচ ১০ হাজার টাকা, অথচ এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করা যায় ১৬ হাজার টাকায়। আমাদের উৎপাদন খরচ এবং শ্রমিকের মজুরির চেয়ে ধানের বাজারমূল্য কম। ধান কেটে আর কি হবে? হাওরে আমার দুই বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা আল্লেকচান, আফসার মোল্লা, আশরাফ মোল্লা, ইউসুফ, ইয়াকুব মোকসেদসহ অনেক কৃষকের। কৃষকেরা জানান, তাদের জমির ধান অনেক আগে পাকলেও জলাবদ্ধতার কারণে কাটতে পারেননি। এত ভালো ফলন হলেও সেই ধান তারা ঘরে তুলতে পারেননি। জলাবদ্ধ থাকার কারণে ধান নষ্ট হওয়া এবং শ্রমিকের মজুরি বেশি ও ধানের দাম কম হওয়ায় তারা কেউ ধান কাটতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বাঙালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, এ হাওরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। আমরা এখানে একটি খাল খননের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের কথা বলেছি। কিন্তু কৃষকেরা জমি দিতে রাজি হচ্ছেন না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, এ বছর ইরি-বোরো ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হাওরে বৃষ্টির কারণে কিছু জমি ডুবে গেলেও এখন আবহাওয়া ভালো আছে। ডুবে যাওয়া ধানগুলো এখন কাটা যাবে। আশা করি, কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited