শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৪:৫৯ পিএম, ২০২১-০৮-১৬
এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সোশ্যাল মিশন গ্রুপের নিজস্ব উৎপাদিত কনজ্যুমার ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বাজার জাত করণে সিরাজগঞ্জ জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আকর্ষনীয় বেতনে চাকুরী দেবার নামে বেকার ছেলে মেয়েদের নিকট থেকে প্রতারণায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে।
পণ্য বিক্রির নামে সদর উপজেলার বহুলী বাজারে হাবিব সুপার মার্কেটে সোশ্যাল মিশন গ্রুপের একটি অফিস খোলা হয়েছে। অফিসে বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত মিনিকেট চাল, চিনি, মুশুরের ডাল ও ইলেক্ট্রনিক্স বক্স রাখা হয়েছে। যে পণ্যের কোন প্রকার বিএসটিআই’র অনুমোদন নেই। নেই কোন সরকারী অনুমোদন।
অফিসে বসে কর্মহীন যুবক যুবতীরা সারাদিন কি করছে তা নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে চলছে নানা গুনজন।
স্থানীয়রা জানান, সোশ্যাল মিশন গ্রুপের(এসএম গ্রুপ) মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতে একটি সার্কুলার প্রচার করা হয়। সার্কুলার প্রচারের পর সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি, বাগবাটী,বহুলী, শিয়ালকোল ও কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের যুবক ও যুবতীরা চাকুরী নেবার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আকর্ষনীয় বেতনে বিভিন্ন পদে ১৮০ জন নিয়োগের পদবী গুলো হলো ম্যানেজার/এজেন্সী ২০ জন, সহকারী ম্যানেজার ২০জন, সিআরও ২০ জন, একাউন্স অফিসার ২০ জন, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ৫০ জন, এক্সিকিউটিভ ছেলে ৫০জন, মেয়ে ৮০ জন ও অফিস সহকারী ২০ জন উল্লেখ করা হয়। অদক্ষ যুবক ও যুবতীরা আকর্ষনীয় বেতনের আশায় চাকুরী নিতে আবেদন করেন। আবেদনের পর প্রতিজনের নিকট থেকে জামানত বাবদ ৩৫ হাজার টাকা দাবী করা হয়। বেকার ছেলে মেয়েরা চাকুরী পেতে দাবীকৃত টাকা প্রদান করেন। এভাবে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সোশ্যাল মিশন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ চৌধুরী ও ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন খান।
সরজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন পদে ১৮০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিসে মাত্র ১০ প্যাকেট মিনিকেট চাল, ভারতীয় ১ প্যাকেট মুশুর ডাল, ১ প্যাকেট চিনি, কয়েক বক্স ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ও ৩টা পেসার কুকার রেখে প্রতারণার জাল বিস্তার করে চলছে। সোশ্যাল মিশন গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য বাজার জাত করার কথা থাকলেও তাদের নিজস্ব উৎপাদিত কোন পণ্য নেই। তারা বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত কিছু পণ্য লোক দেখানোর জন্য অফিসে রেখে দিয়েছেন। পণ্যের প্যাকেটে কোন প্রকার উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উল্লেখ নেই। বিভিন্ন জেলার ট্রেড লাইসেন্স ঝুলানো রয়েছে অফিস কক্ষে।
ব্রাক্ষনগাঁতী গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর ছেলে মো. লিখন বলেন, অফিসের কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি তবে আমি ৩ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি। চাকুরী নিতে জামানত বাবদ ৩৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। তবে অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা এখনও বেতন পাচ্ছে না বলে জানান একাধিক মাঠকর্মীরা।
এ বিষয়ে সোশ্যাল মিশন গ্রুপের ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন খান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদত্তোর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে বহুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন জানান, মার্কেটিং এর একটি অফিস উদ্বোধন করেছি। কিন্তু জামানতের টাকার বিষয়ে কিছু জানা নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ যে কোন সময় ওই মার্কেটিং কোম্পানী গা ঢাকা দিতে পারেন। বিষয়টি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited