শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৩:৪৯ পিএম, ২০২১-০৩-০৮
গোলাম রব্বানী,পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ পীরগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে ভর্তি রোগীরদের জন্য সরকারিভাবে সরবরাহকৃত এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ভর্তি রোগীরদের জখমি সনদপত্র প্রদানের ক্ষেত্রেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের ভুক্তভোগী মিলন জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি জ্বরের চিকিৎসার জন্য তার ছোট ভাই জাহিদুর রহমানকে হাসপাতালের ১৫ নম্বর বেডে ভর্তি হন। তার চিকিৎসাপত্রে হাসপাতালে সরবরাহ থাকা সেফটি এ্যাক্সজম ওয়ান গ্রাম নামে একটি এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন লেখেন জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক। পরে অন্তঃবিভাগে যাওয়ার পর সেফটি এ্যাক্সজম ওয়ান গ্রাম ইনজেকশন বাদ দিয়ে ইনাসেফ টু গ্রাম নামের ১০টি ইনজেকশনের নাম লিখে বাইরে থেকে কিনে আনার জন্য হাতে কাগজ ধরিয়ে দেন (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক। এতে রোগীর ভাই মিলন ইনজেকশন কিনতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে নানাভাবে হেনস্থা করে এবং এ সময় ১০টি ইনজেকশনের জন্য তার কাছে ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হয়ায় তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পরে সমাজসেবা অফিসের সহায়তায় দুটি ইনজেকশন দেয়া হয়। পরবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদুর রহমান ৪দিন রোগী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন। অবশেষে বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি ফোনে হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মাইজুলমের সহায়তায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বারের নির্দেশে বুধবার দুপুর থেকে জ্বরে আক্রান্ত জাহিদুর রহমানকে হাসপাতাল থেকেই সেফটি এ্যাক্সজম ওয়ান গ্রাম ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়। সূত্র জানায়, হাসপাতালেই পর্যাপ্ত সেফটি এ্যাক্সজম ওয়ান গ্রাম এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন রয়েছে। টাকা না দেওয়ায় আরএমও তাদের হয়রানি করেছেন। শুধু মিলন বা জাহিদুরই নয়। এরকম অসংখ্য ভর্তি রোগীকে ওষুধের জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে জখমি চিকিৎসা সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে আরএমও ডা. আবু বক্করের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার করনাই গ্রামের কালু নামে এক ব্যক্তি জানান, কয়েক মাস আগে প্রতিপক্ষের হামলায় হাত ভাঙা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ হাসপাতাল থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট চাইলে টাকা খেয়ে সাধারণ জখমি সনদ পত্র দেন ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক। পরে হাত ভাঙার এক্স-রেসহ অন্যান্য জখমের কাগজপত্র নিয়ে গেলে সনদপত্র পরিবর্তন করে গ্রিভিয়াস সনদপত্র দেন তিনি। কালুর মতো আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে ওই আর এমওর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আরএমও ডা. আবু বক্করকে মুঠোফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরে দেখা করে কথা বলবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি শুনেছি। কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনাটি শোনার পর আমি হাসতপাল কর্তৃপক্ষকে বলে ওষুধের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited