শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ১০:০৩ পিএম, ২০২১-০২-০২
বিশেষ প্রতিবেদক : প্রবাসী স্বামীর কষ্টার্জিত টাকায় কেনা বাড়ী সংঘবদ্ধ জালিয়াতচক্র জবরদখলের পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারী সংস্থায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মরিয়ম আক্তার নামে এক ভূক্তভোগী গৃহবধূ।
গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনে এক সংসদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় তার সন্তানরাসহ স্বজনরা উপস্থিত র্ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার স্বামী মো: আলমাস শেখ দীর্ঘ এক যুুগের বেশি সময় ধরে প্রবাসে। স্বামীর কষ্টার্জিত টাকা এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা করে ২০০৬ সালের দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডস্থ ব্লক “সি”র ২৬/১৭ নম্বর বাড়িটি ক্রয় করি। এই বাড়ির মালিক আব্দুল কুদ্দুস ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী যথাক্রমে মাসুমা বেগম ও দেলোয়ারা বেগম এবং তিন ভ্রাতা যথাক্রমে আল আরশাদ, সিরাজুল হক ও সুরুজ মিয়া এবং এক ভগ্নি আনোয়ারা বেগমকে রেখে যান। আব্দুল কুদ্দুস সাহেবের কোন সন্তান সন্ততি ছিল না। আমি কুদ্দুস সাহেবের প্রকৃত ওয়ারিশ এবং ভাই ও বোনদের নিকট থেকে প্রথমে বাযনা ও পরে রেজিষ্ট্রিমূলে ৫তলা বাড়িসহ জমি ক্রয় করে ভোগদখলরত ছিলাম। ২০১০ সালের দিকে জনৈক গাজী জাহিদ হেগাসেনকে তৃতীয় তলা ভাড়া দেই। জাহিদ হোসেন বছর খানেক নিয়মিত বাড়া পরিশোধ করেন। হঠাৎ করেই তিনি ভাড়া প্রদান বন্ধ করে দেন। কয়েক মাস এভাবে চলার পর একদিন বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বিতাড়ণ করে তা দখলে নেন এবং নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করতে থাকেন। এমনকি আমাকে প্রাণনাশসহ নানা ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন। দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমি তখন দিশেহারা ও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ি। বিষয়টি নিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের ছাড়াও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জনের কাছে ধর্ণা দিয়ে প্রতিকারের কোন পথ খুঁজে পাইনি। গাজী জাহিদ হোসেনের ভাষ্য অনুযায়ী, মরহুম আব্দুল কুদ্দুসের ওয়ারশান থেকে জনৈক মোশাররফ হোসেন চৌধূরী বাড়িটি ক্রয় করে জনৈক হারুন অর রশিদকে পাওয়ার অব এর্টনি দিয়েছেন। হারুন অর রশিদের কাছ থেকে জাহিদ হোসেন বায়নানামা দলিলমূলে বাড়িটি ক্রয় করেছেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কথিত মোশাররফ হোসেন একজন সরকারি চাকুরে এবং তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিদেশে আছেন। অন্যদিকে ওয়ারশানের কাছ থেকে বাড়ি ক্রয় করার যে দাবি করা হচ্ছে সেটিও ভূয়া। মুলত: জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মরহুম সাহেবের প্রথম স্ত্রী মাসুদা বেগম, নিজের ভাইয়ের মেয়ে মোসাম্মত সুলতানা বিলকিস মুন্নীকে কুদ্দুস সাহেবের ঔরসজাত সন্তান বানিয়ে এ জাল দলিল তৈরি করেছে। আমার অভিযোগের পর, পুলিশ গাজী জাহিদকে দফায় দফায় ডেকে নিয়ে বাড়ি কেনার কাগজপত্র দেখাতে বললেও দখলবাজ জাহিদ তা দেখাতে পারেনি এবং পুলিশ জাহিদকে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেননি তিনি। এ অবস্থায় জালিয়াতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, তাদের কবল থেকে আমার বাড়ি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্ত চেয়ে আমি ২০১৬ সালের দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত আবেদন করি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে। তদন্তকালে গাজী জাহিদ হোসেন তার মালিকানার দাবির সপক্ষে কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি বলে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এরপরও জমি সংক্রান্ত বিরোধ বিধায় পুলিশ জালিয়াতির বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। তবে প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে গাজী জাহিদ ওই সময় দ্বিতীয় তলার দখল ছেড়ে দিয়ে প্রথম ও তৃতীয় তলা জবর দখলে রাখেন। দ্বিতীয় তলার দখল পাবার পর আমার ধারণা ছিল হয়তো শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। এরই মধ্যে শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত নানাবিধ সমস্যায় আমি কিছুটা ঝামেলায় ছিলাম। এ সুযোগে জাহিদ হোসেন তার অবস্থান আরো পোক্ত করে। তিনি দুইটি ফ্লোর দখলে রেখে পুরো বাড়ি দখলে নতুন অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আমার বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় একের পর এক মিথ্যা-ভূয়া মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।
গাজী জাহিদ হোসেন একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু ও জালিয়াত চক্রের সদস্য। এ চক্রে যেমন কথিত আইনজীবী রয়েছে, তেমনি রয়েছে সন্ত্রাসী ও অপরাধী। তার দোসর গাজী ইয়াদ উদ্দিন মাহমুদ ওরফে সুজন, মেয়ে তাহেরা তাবাসসুম সোমা ও তার স্বামী কাইয়ুম ও আলিম উকিলসহ একটি জালিয়াতক্র। এ চক্র এরই মধ্যে জালিয়াতির মাধ্যমে তাজমহল রোড, জহুরী মহল্লা, বিজলী মহল্লা, নুরহাজান রোড ছাড়াও আশপাশের অনেক বাড়ি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। বিশেষ করে পরিত্যক্ত কিংবা সরকারি সম্পত্তির ওপর তাদের টার্গেট থাকে। তাদের জালিয়াতির কৌশলও অভিনব। এক্ষেত্রে ভূয়া পরিচয়-ঠিকানায় বাদী সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে আদালতে মামলা করে গোপনে একতরফা শুনানী করিয়ে নিজেদের পক্ষে রায় হাসিল করেন। পরে ওই রায়কে ব্যবহার করেই প্রশাসন কিংবা মাস্তান ব্যবহার করে টার্গেটকৃত সম্পাত্ততে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করে সেটির দখল নেয়। এ কায়দায় অন্তত ২০-২৫টি বাড়ি তারা দখল করেছে। আরো কয়েকটি দখলের
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited