শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০২:৩৪ পিএম, ২০২২-১০-২১
রোকনুজ্জামান সবুজ, জামালপুর : জামালপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতি ভোট চড়া দামে একাধিক প্রার্থীর নিকট বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন ভোটাররা।
নির্বাচন শেষে সেই টাকা আদায় করতে মাঠে নেমেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। চলছে দফায় দফায় আলোচনা সমালোচনা। সোশ্যাল মিডিয়াই তোলপাড় ,ক্ষুব্ধ সুধিমহলের লোকজন।
জানা যায়,জেলার সাতটি উপজেলায় ৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২১ জন ও ২টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৯শ'৯৮ জন ভোটারের মধ্যে ৭শ'৩৩জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগের সুযোগ পায়। ভোট দিতে টাকার অংক ও কম তুলেনি ভোটাররা। প্রতি ভোটে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ৩০ থেকে ৫০ হাজার করে। জেলার ইসলামপুর উপজেলার এক ভোট একাধিক প্রার্থীর নিকট চড়াও মৃল্য বিক্রয় করেন। এবং পরাজিত প্রার্থীরা টাকা আদায় করতে মাঠে নেমেছেন। বকশিগঞ্জ,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ভোটারা ও থেমে নেই এ কাজে।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াই চলছে নানা মন্তব্য।
বৃহস্পতিবার (২০অক্টোবর) সকালে চরপুটিমারী ও চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ভোটারদের নিকট টাকা ফেরৎ নিতে যায় পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সর্দার।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্যদের নিয়ে আলাদা একটি কক্ষে বৈঠক করতে দেখা যায় তাকে।
রাজ্জাক সর্দার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমার নিকট থেকে এই দুই ইউনিয়নের ২২ জন ভোটার টাকা নিয়েছে। তাদের বুথে আমি ভোট পেয়েছি ১২টি। বাকি ভোট গেলো কোথায়!অবশ্যই তারা অন্যজনকে ভোট দিয়েছে।
এত বেইমানি মানুষ কেমনে করে। টাকা বিষয় না,এদের মুখোশ উম্মোচন করার জন্যই আমি মাঠে নেমেছি।
রাজ্জাক সর্দারের সফর সঙ্গী খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের নিকট থেকে এই দুই ইউনিয়নে প্রতি ভোট ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে,শুনলাম আরেক প্রার্থী লালমিয়া সাহেবের নিকট থেকেও প্রতি ভোটে ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন তারা।
এরা ৫ জনের নিকট থেকেই কম বেশি করে টাকা নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন,কিছুক্ষণ আগে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য পরাজিত প্রার্থী লাল মিয়া সাহেব টাকা ফেরৎ নিতে চরপুটিমারী ও চরগোয়ালিনী এসেছিলেন। ভোটারেরা এক ভোট ৫ জনের নিকটও বিক্রি করেছেন তারা। এমন জন-প্রতিনিধিদের দিয়ে কি আশা করা যায়।
চরপুটিমারী ইউনিয়নের ভোটার দের সাথে কথা হলে তারা বলেন লালমিয়া সাহেবের টাকা আমাদের জোর করে দিয়েগেছে,আমরা নিতে চাইনি।
সে টাকা ফেরৎ চাইছে,আমরা ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যানের নিকট টাকা ফেরৎ দিয়েছি। আর আব্দুর রাজ্জাক সর্দারের টাকা নিয়েছি ভোটও দিয়েছি।
চরপুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক লাল মিয়ার নিকট থেকে উনারা ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে এটা আমি জানি,শুনলাম এরাই আবার অন্য প্রার্থীর নিকট থেকেও টাকা নিয়েছে!
একই ঘটনা ঘটেছে জেলার বকশিগঞ্জ,ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাতে। আলোচনা সমালোচনা চলছে সুধিমহলে, তোলপাড় থেমে নেই সোশ্যাল মিডিয়াই।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : নুর আমিনা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ১০৪ তম জন্ম বার্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো: শরিফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, র...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহম্মদ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল জনকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ২৪ জন মেধাব...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শাহ আলম শফি : চট্টগ্রাম বিভাগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করায় বরুড়...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : মো.শামীম আক্তার,রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ): স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : শরীফ ভূইয়া,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে &...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited