শিরোনাম
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : | ০৫:০১ পিএম, ২০২০-০৯-০২
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়ে করোনাকালে ভারতের কারাগারে বন্দি হওয়া ২৫ বাংলাদেশি বুধবার দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ চার মাস পর দুপুরে চেংড়াবান্ধা-বুড়িমারি চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বুড়িমারি চেকপোস্টে আটক বাংলাদেশিদের গ্রহণ করতে যাওয়া রেল-নৌ,যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সংগঠক নাহিদ হাসান নলেজ এ তথ্য জানান।
এর আগে, গত ৩ মে দেশে ফেরার সময় ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের ধুবড়ি পুলিশ। এদের একজন ভারতে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় চার মাস কারাভোগের পর গত ২৯ আগস্ট বাকি ২৫ জনের মুক্তির আদেশ দেয় ভারতের ধুবড়ি আদালত। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায়।
নাহিদ হাসান নলেজ জানান, বৈধ ভিসায় ভারতে গিয়ে করোনাকালে আইনের বেড়াজালে আটক ২৫ বাংলাদেশি প্রায় চার মাস ভারতের কারাগারে থাকার পর আদালতের আদেশে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। ফেরত বাংলাদেশি কয়েকজনের স্বজনসহ আমি নিজেও বুড়িমারি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তাদের গ্রহণ করতে এসেছি। এখন তাদেরকে নিয়ে আমরা চিলমারীর পথে রওয়ানা হবো।
নাহিদ হাসান আরও জানান, ভারতের হাইকোর্টের আইনজীবী অসীম দাস গুপ্ত এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী রাজস্বী দাস গুপ্ত আটক বাংলাদেশিদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন। মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিদের স্বজনদের মধ্যে আটক হানিফ মিয়া ও মানিক মিয়ার বাবা লাল মিয়া, আমিনুল ইসলামের ছোট ভাই মমিনুল সহ রেল-নৌ,যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির সদস্যরা বুড়িমারি চেকপোস্টে কারামুক্ত বাংলাদেশিদের গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ২৬ বাংলাদেশি ভারতে যান। বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসা থাকলেও ভারতে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন চলার মধ্যে গত ২ মে ওই ২৬ বাংলাদেশি দু'টি মিনিবাসে আসামের জোরহাট জেলা থেকে দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পশ্চিমবঙ্গের চেংড়াবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা ছিল তাদের। ভারতে জেলে ও খামারকর্মী হিসেবে কাজ করা এসব বাংলাদেশিকে পরদিন (৩ মে) সকালে বাহালপুর এলাকা থেকে আটক করে আসামের ধুবড়ি জেলা পুলিশ। করোনা পরীক্ষার পর তাদের পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। গত ৫ মে ওই ২৬ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং ফরেনার্স (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০০৪ এবং পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৬৭’র ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দেশটির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাসপোর্টধারী এসব বাংলাদেশি টি-ওয়ান ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এই ভিসাধারীদের কাজের অনুমতি না থাকলেও আসাম পুলিশের অভিযোগ, এই বাংলাদেশিরা রাজ্যের জোরহাট, গোলাঘাট ও শিবসাগর এলাকায় কর্মসংস্থান কার্যক্রমে যুক্ত থেকে ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তাদের মুক্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে একাধিকবার মানববন্ধন করেন আটক ব্যক্তিদের স্বজনরা। এরমধ্যে গত ১ জুলাই কারা হেফাজতে বকুল মিয়া নামে এক বাংলাদেশি মারা গেলে চারদিন পর তার মরদেহ দেশে স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। অপর ২৫ বাংলাদেশি প্রায় চার মাস পর কারামুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন।
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, মুরাদনগর(কুমিল্লা) প্রতিনিধি: মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : পুলক রাজ সুনামগঞ্জ : ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র সুইজারল্যান্ড। পাহাড় পর্বতের মাঝে রয়েছে সবুজ স...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : ইসমাঈল হোসেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাকি পৌর...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : সেখ মুজাহিদুল ইসলাম (বাগেরহাট প্রতিনিধি) : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকা থে...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ভূমিহীনদের মধ্যে জমি ও ঘর প্রদান করা হয়েছে--এমপি ইউসুফ আবদুল্ল...বিস্তারিত
জিএসএসনিউজ ডেস্ক : : এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ সিরাজগঞ্জে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছাত...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 gssnews 24 | Developed By Muktodhara Technology Limited